Friday, October 3, 2014

পৃথিবীর নিষিদ্ধনগরী



অনলাইন ডেস্ক: পৃথিবীর কাছে বছরের পর বছর ধরে নিষিদ্ধ বিস্ময়নগর তিব্বত। ঠাণ্ডা, রুক্ষ, পাথুরে ভূমি আর পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গগুলোর বুকে বরফগলা নদীর সমন্বয়ে গঠিত এ এই তিব্বত।
নিষিদ্ধ নগরী তিব্বতের রাজধানী লাসার কথা আমরা অনেকেই সাধারণ জ্ঞানের বইয়ে পড়েছি। কিন্তু কখনো চিন্তা করি নাই কেন তিব্বত নিষিদ্ধ।

আজ তিব্বত নিয়ে কিছু তথ্য বলব
লাসা শব্দটির আক্ষরিক অর্থ দেবতাদের আবাস। প্রাচীন তিব্বতী দলিলপত্র অনুযায়ী এই স্থানের আদি নাম ছিল রাসা (যার অর্থ দরবার বা ছাগলের আবাস)। ৩,৬৫০ মিটার বা  ১২,০০০ ফুট উচু শহর লাসা , যা বিশ্বের উচ্চতম শহর গুলির মধ্যে পড়ে। এখানে প্রায় ২,০০,০০০ লোক বাস করে।

১৯১২ খ্রিস্টাব্দে ১৩ তম দালাইলামা কর্তৃক প্রবর্তিত গণচীনের একটি স্বশাসিত অঞ্চল এটি। মধ্য এশিয়ায় অবস্থিত এ অঞ্চলটি তিব্বতীয় জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল। বর্তমানে অনেক তিব্বতীয় এই অঞ্চলকে গণচীনের অংশ মানে না। ১৯৫৯সালে গণচীনের বিরুদ্ধে তিব্বতিদের স্বাধিকার আন্দোলনে ব্যর্থ হয়। তখন দালাইলামার নেতৃত্বে অসংখ্য তিব্বতি ভারতের হিমাচল প্রদেশের আশ্রয় নেয় । সেখানে স্বাধীন তিব্বতের নির্বাসিত সরকার গঠন করা হয়।

তিব্বতের রাজধানী লাসা বিশ্বব্যাপী নিষিদ্ধনগরী হিসেবে পরিচিত। কারন বহু বছর যাবত বহির্বিশ্বের মানুষের প্রবেশাধিকার ছিল না তিব্বত এ।

লাসার বিখ্যাত পোতালা প্রাসাদের ছবি আমরা প্রথম দেখি ১৯০৪ সালে আমেরিকার ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পত্রিকায়।

সম্রাট সগেন পো তিব্বতের রাজধানী লাসা নগরীর প্রতিষ্ঠাতা। ৬৪১খ্রিস্টাব্দে সম্রাট একটি বিরাট জলাশয় ভরাট করে প্রাসাদ এবং মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তিব্বতের বিভিন্ন মন্দিরের ভেতর সোনার তৈরি বড় বড় প্রদীপ মাখন দিয়ে জ্বালানো থাকে। ৪ হাজার ভরি ওজনের একটি প্রদীপও সেখানে রয়েছে।
তিব্বতীরা নাকি উকুন খায়। একাধিক পর্যটক একথা বলেছে কিন্তু কোন তথ্য প্রমান নাই।


তিব্বতীয় বাক্তি মারা গেলে তাকে সৎকার করা হয় না, ওই বাক্তির প্রেতাত্মা তাড়ানোর জন্য তার শরীর ফেলে রাখা হয় যতক্ষণ না শকুন বা অন্য কোন প্রাণী তা খেয়ে ফেলে।
তিব্বতের সাধারণ মানুষরা এখনো চামড়ার পোশাক পরে।

সুত্র: ইন্টারনেট 


0 comments:

Post a Comment

 
Design by Wordpress Theme | Bloggerized by Free Blogger Templates | free samples without surveys