https://www.youtube.com/user/riponshagor/videos
কী করবেন?
তেমন কিছুই নয়, কেবল দিনে দুই বেলা আপনার সাধারণ আহার বাদ দিয়ে খাবেন এই খাবারটি। যেটুকু পরিমাণে দেয়া হবে, ঠিক সেটুকুই। ডিনারে অবশ্যই খাবেন এটি, সাথে ব্রেকফাস্ট বা লাঞ্চ যে কোন একবেলায় খাবেন যখন আপনার সুবিধা হয়। এবং অন্য যে বেলায় সাধারণ খাবার খাবেন, তখন কোন কার্বোহাইড্রেট, মিষ্টি বা ভাজা খাবার খাবেন না। গ্রিল করে চিকেন বা মাছ, সাথে কাঁচা বা অল্প তেলের সবজি, ডাল ইত্যাদি রাখবেন খাবারের তালিকায়। খুব বেশী হলে একটি রুটি চলতে পারে। আর কাঁচা ফলমূল ও সালাদ খেতে পারেন ইচ্ছা মত। যে কদিন ডায়েট করবেন, কোন রকম কোমল পানীয় পান করবেন না এবং চিনির বদলে ডায়াবেটিক সুগার ব্যবহার করবেন।
কীভাবে কমাবে ওজন?
এই খাবারটি ওটস, টক দই এবং দুধের তৈরি একটি সুস্বাদু খাবার যার এক বাটিতে আছে মাত্র ৬০০ ক্যালোরি। কিন্তু খাবারটি দীর্ঘ সময় আপনার পেট ভরা রাখে, উচ্চ মাত্রার ফাইবার থাকে বিধায় শরীরের মেটাবোলিজম উন্নত করে ও ওজন কমাতে সহায়তা করে। ১ পাউন্ড কমানোর জন্য মোটামুটি ৩৫০০ ক্যালোরি ঝরাতে হয়। আপনি যদি দিনে দুইবেলা এই খাবারটি খান, তাহলে আপনি দুই বেলায় মোট গ্রহণ পড়বে মাত্র ৬০০ ক্যালোরি। আর অন্য বেলায় যদি কার্বোহাইড্রেট, মিষ্টি ও ভাজা খাবার বাদ দিয়ে আহার করেন, তবে পেট পুরে খেলেও ৪০০/৫০০ ক্যালোরির বেশী গ্রহণ করা হবে না। সব মিলিয়ে আপনার পেট ভরা রেখেও দৈনিক ক্যালোরি গ্রহনের পরিমাণ কমে আসবে মোট ১০০০ ক্যালোরিতে। একজন মানুষের দৈহিক ক্যালোরির চাহিদা তার ওজন ও কাজের ভিত্তিতে মোটামুটি ১৫০০ থেকে ২৫০০ ক্যালোরি। দিনে ১০০০ ক্যালোরির মাঝে খাওয়া দাওয়ার পর্ব সারতে পারলে ব্যায়াম করা ছাড়াই মোটামুটি ৩ দিনে ৩৫০০ ক্যালোরি বাড়তি খরচ হবে, অর্থাৎ ১ পাউন্ড করে ঝরবে আপনার ওজন। এভাবে মাসে কমপক্ষে ১০ পাউন্ড এবং এর বেশিও ওজন কম করতে পারবেন। ভালো ফল পেতে দৈনিক ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ব্যায়ামের অভ্যাসও করতে পারেন। এতে ওজন কমবে দ্রুত।
জেনে নিন সেই দারুণ রেসিপিটি!
উপকরণ-
রোলড ওটস ১/২ কাপ, ১/৩ কাপ স্কিম মিল্ক বা নন ফ্যাট দুধ, ১/৩ কাপ লো ফ্যাট টক দই, ডায়াবেটিক চিনি স্বাদ অনুযায়ী, আপনার পছন্দের যে কোন একটি বা দুটি ফল ১/২ কাপ (আপনি চাইলে মিষ্টি বাদ দিয়ে ঝাল-মশলা যোগ করে খেতে পারেন। সাথে দিতে পারেন কোন সবজি। তবে অবশ্যই কোন তেল বা সস যোগ করবেন না)
প্রণালি-
ফল বাদে সমস্ত উপকরণ একত্রে মিশিয়ে রাখুন রাতের বেলাতেই। ঢাকনা দিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। সকাল বেলায় উঠে দেখবেন তৈরি হয়ে গিয়েছে দারুণ সুস্বাদু খাবার। এটাকেই সারাদিন খেতে পারবেন আপনি। খেতে পারেন ঠাণ্ডা, চাইলে গরমও করে নিতে পারেন। পাতলা খেতে চাইলে পানি যোগ করবেন। তবে যেটুকু পরিমাণ দেয়া হয়েছে এর বেশী কিছু যোগ করবেন না।
https://www.youtube.com/user/riponshagor/videos
সূত্র: প্রিয় লাইফ
0 comments:
Post a Comment