কফ নিরাময়ের পদ্ধতি:
ক্রনিক ব্রংকাইটিসের রোগীর কফ ও জীবাণু সংক্রমিত হয়ে পেকে হলুদ হয়ে যেতে পারে। কফ পরীক্ষা ভালোমতো করতে হবে। কফের কালচার এবং সেনসিটিভিটি পরীক্ষা একটি ভালো এবং নির্ভরযোগ্য প্যাথলজিক্যাল ল্যাব থেকে করিয়ে এন্টিবায়োটিক খেতে হবে। কারণ ও প্রতিকার নিয়ে লিখেছেন অধ্যাপক ডা: ইকবাল হাসান মাহমুদ
অনেক বক্ষব্যাধির কারণেই বুকে কফ পেকে যেতে পারে। কফ পেকে যাওয়া বলতে বোঝায় কফের রঙ হলুদ হয়ে যাওয়া। যেসব রোগের কারণে কফ হলুদ হয়ে যায়, তার মধ্যে ফুসফুসে ফোড়া, ব্রংকিংএকটেসিস, ক্রনিক ব্রংকাইটিসসহ অনেক ধরনের বক্ষব্যাধি, যেখানে জীবাণু সংক্রমণ ঘটে সেগুলোকে বোঝায়। ব্রংকিংএকটেসিস হলে বেশির ভাগ রোগীরই পাকা হলুদ কফ কাশির সাথে নির্গত হয়। এটা ফুসফুসের একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। এ রোগের ফলে ফুসফুসের কিছু শ্বাসনালীতে বড় ধরনের প্রদাহ দেখা দেয়। আক্রান্ত স্থানের শ্বাসনালীগুলো তখন ফুলে মোটা হয়ে যায়। ব্রংকিংএকটেসিসের অন্যতম প্রধান উপসর্গই হলো দীর্ঘস্থায়ী কফ-কাশি। বেশির ভাগ রোগীই চিকিৎসকের কাছে আসেন কাশির সাথে প্রচুর কফ পড়ার সমস্যা নিয়ে। ঘুম থেকে সকালে ওঠার পর কাশি বেশি হয়, যাকে আমরা কাবিং বলে থাকি। অনেক দিন ধরে এ রোগ চলতে থাকলে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
অনেক বক্ষব্যাধির কারণেই বুকে কফ পেকে যেতে পারে। কফ পেকে যাওয়া বলতে বোঝায় কফের রঙ হলুদ হয়ে যাওয়া। যেসব রোগের কারণে কফ হলুদ হয়ে যায়, তার মধ্যে ফুসফুসে ফোড়া, ব্রংকিংএকটেসিস, ক্রনিক ব্রংকাইটিসসহ অনেক ধরনের বক্ষব্যাধি, যেখানে জীবাণু সংক্রমণ ঘটে সেগুলোকে বোঝায়। ব্রংকিংএকটেসিস হলে বেশির ভাগ রোগীরই পাকা হলুদ কফ কাশির সাথে নির্গত হয়। এটা ফুসফুসের একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। এ রোগের ফলে ফুসফুসের কিছু শ্বাসনালীতে বড় ধরনের প্রদাহ দেখা দেয়। আক্রান্ত স্থানের শ্বাসনালীগুলো তখন ফুলে মোটা হয়ে যায়। ব্রংকিংএকটেসিসের অন্যতম প্রধান উপসর্গই হলো দীর্ঘস্থায়ী কফ-কাশি। বেশির ভাগ রোগীই চিকিৎসকের কাছে আসেন কাশির সাথে প্রচুর কফ পড়ার সমস্যা নিয়ে। ঘুম থেকে সকালে ওঠার পর কাশি বেশি হয়, যাকে আমরা কাবিং বলে থাকি। অনেক দিন ধরে এ রোগ চলতে থাকলে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
ফুসফুসে ফোড়া হলেও হলুদ পাকা কফ কাশির সাথে নির্গত হয়। ফুসফুসে ফোড়া বিভিন্ন রোগজীবাণু দিয়েই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই ফোড়া হতে দেখা যায়। ত্বকে ফোড়া হলে চিকিৎসক ছোট একটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুঁজ বের করে দিয়ে এক কোর্স এন্টিবায়োটিক লিখে দেন; কিন্তু ফুসফুসের ফোড়া কাটাতে এত সহজ ব্যাপার নয়। বিভিন্ন ধরনের জীবাণু দিয়ে এই ফোড়া হতে পারে। তাই প্রকৃত চিকিৎসার সফলতা নির্ভর করে কোন জীবাণু এই রোগের আক্রমণকারী, সেটা চিহ্নিত করা। যক্ষ্মার জীবাণু দিয়ে যদি এই ফোড়া হয়ে থাকে, তবে তা আর সাধারণ এন্টিবায়োটিক দিয়ে কোনো কাজ হবে না। ফুসফুসে ক্যান্সার বা টিউমার হলে সেখানে জীবাণু সংক্রমণ হয়ে ফোড়ার সৃষ্টি হতে পারে। তবে স্টেফাইলোকক্কাস দিয়ে যে ফোড়া হয়, সেগুলো সংখ্যায় কয়েকটি হয়ে থাকে এবং ফোড়াগুলোর দেয়ালটা এত পাতলা থাকে যে, যেকোনো সময় সেটা ফেটে গিয়ে ফুসফুসের পর্দায় বাতাস জমা হয়ে নিউমোথোরাক্স তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া শরীরের অন্য স্থানের প্রদাহ থেকেও ফুসফুসে ফোড়ার জন্ম হতে পারে। এ রোগের লক্ষণ হঠাৎ করে অথবা আস্তে আস্তে শুরু হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বেশ জ্বর আসে এবং খুব কেঁপে জ্বর আসে। প্রচুর ঘাম হয়, বুক ব্যথা, কাশি থাকে এবং কাশির সাথে পাকা পাকা দুর্গন্ধযুক্ত প্রচুর কফ যায়। ফুসফুসে ফোড়া হলে শতকরা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে কাশির সাথে রক্ত যায়। রক্তশূন্যতা দেখা যায় এবং ওজন বেশ কমে যায়। রোগী দিনে দিনে শুকিয়ে যেতে থাকে। হাতের আঙুলের মাথায় এক ধরনের পরিবর্তন আসে, যাকে আমরা কাবিং বলে থাকি। কোন জীবাণু দিয়ে এই রোগ হয়েছে তা নির্ণয় করা সফল চিকিৎসার জন্য খুবই প্রয়োজন। কফে অনেক সময় আমরা ক্যান্সার সেলেরও সন্ধান করে থাকি। তবে এই রোগ নির্ণয়ের জন্য এক্স-রে পরীক্ষা করে আমরা ফোড়ার সন্ধান পাই। আগেই লিখেছি আক্রমণকারী জীবাণুকে শনাক্ত করতে হবে। যথোপযুক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে অনেক দিন যাবৎ। আমরা রোগীকে বিভিন্নভাবে শুইয়ে এবং বসিয়ে কফ ফেলার ধরন প্রশিক্ষণ দিয়ে পুঁজের মতো কফ নির্গত করার চেষ্টা চালাই। কারণ এই বিষাক্ত কফ বের করতে না পারলে হাজার এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে কোনো আশাব্যঞ্জক ফল পাওয়া দুষ্কর। ক্রনিক ব্রংকাইটিসের রোগীর কফ ও জীবাণু সংক্রমিত হয়ে পেকে হলুদ হয়ে যেতে পারে। কফ পরীক্ষা ভালোমতো করতে হবে। কফের কালচার এবং সেনসিটিভিটি পরীক্ষা একটি ভালো এবং নির্ভরযোগ্য প্যাথলজিক্যাল ল্যাব থেকে করিয়ে এন্টিবায়োটিক খেতে হবে।
লেখক : মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ৮৫, ওয়ারলেস মোড়, মগবাজার, ঢাকা।
সূত্র: ইন্টারনেট
0 comments:
Post a Comment