Monday, October 13, 2014

কামিনি ফুল সৈন্দর্যে, সৌরভে ও ঔষুধি গুনাগুনে ভরপুর

                                                                                       লেখকঃ ফাতেমা তুজ জোহরা

এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলগুলোতে এই সাদা শুভ্র সুগন্ধি ফুল জন্মে থাকে। রাতের বেলায় এর মৃদু শুরভি যেন মনকে এক প্রশান্তি দেয়। এটি গুল্ম জাতীয় গাছ। কামিনি গাছের সাদা ছোট ফুলগুলি গাছের কাণ্ডের পাতার নিকটে অনেকটা গুচ্ছাকারে জন্মে। আবার কিছু কিছু ফুল একাকি অবস্থান করে।

কামিনির বৈজ্ঞানিক নাম গঁৎৎধুধ বীড়ঃরপধ . ফুল পুরোপুরিভাবে ফোটার সাথে সাথে এর ছোট সাদা পাপড়িগুলো ঝরে পরে। বর্ষাকালে সাধারণত এই ফুল ফোটে। এই গাছ বাগানে যেমন শোভা বর্ধন করে, তেমনি আমাদের নানা রোগের পাথেয় এই গাছটি। গাছটির বিভিন্ন অংশ দিয়ে তৈরি ওষুধ জ্বর, ডায়রিয়া নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া ব্যাথানাশক হিসেবে এর ভূমিকা ব্যাপক। কোনো ফোলা ব্যাথা যুক্ত স্থানে এর থেকে তৈরি ওষুধের প্রয়োগে ব্যথা কমে যায় অনেকটা। কিউবাতে এটি এ কাজে ব্যাপক প্রচলিত।

এর রাসায়নিক উপাদানের মধ্যে রয়েছে কওমারিন্স ও অ্যালকানয়েডস। এছাড়া রয়েছে কারবোবেঞ্জল ও ক্যারটিনয়েডস। এর মূল, বীজ ও ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। গাছটির নানা অংশ থেকে লিপিড, কওমারিন্স ও কিছু তেল জাতীয় পদার্থ পৃথক করা হয়েছে। বায়োলজি ল্যাবে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজে এইসব উপাদান ব্যবহার করা হয়।



                                                                                       সূত্র: জিরো২ইনফিনিটি  

0 comments:

Post a Comment

 
Design by Wordpress Theme | Bloggerized by Free Blogger Templates | free samples without surveys