স্বাস্থ্য ডেস্ক:
প্রতি মাসেরই একটি নির্দিষ্ট সময়ে নারীদের শরীরে হরমোনের ক্রিয়াকলাপ বেড়ে যায়। এ সময়ে হরমোন তাদের শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার ওপর বেশ বড় প্রভাব রাখে। পিরিয়ডের পর শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলেও মাঝেমাঝে অকারণেই অনেক দিন ধরে রয়ে গেছে এসব উপসর্গ। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য এভাবে ব্যহত হবার পেছনে গুরুতর কোনো শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে। বিশেষ করে ৫টি লক্ষণ দেখলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
অবসাদ
অবসাদের অনেক অনেক কারণ থাকতে পারে। শুধুমাত্র ক্লান্তি মনে করে একে উড়িয়ে ঠিক না। সারা সপ্তাহ কাজ বা পড়াশোনার ধকলের পর ক্লান্ত থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু সারাক্ষণই ক্লান্ত থাকা এবং তার পাশাপাশি ওজন বেড়ে যাওয়া, রুচির পরিবর্তন এবং বদহজমের উপসর্গ থাকলে তা হলে পারে আন্ডারঅ্যাকটিভ থাইরয়েডের লক্ষণ। কোনো কারণ ছাড়াই সবসময় ক্লান্ত লাগলে ডাক্তারকে জানানো উচিত।
ত্বকের অবনতি
ত্বকে ব্রণ ওঠার ব্যাপারটাকে অনেকেই অবহেলার দৃষ্টিতে দেখে থাকেন। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মুখের নিচের অংশে ব্রণ ওঠার সাথে শরীরে উঁচুমাত্রার টেস্টোস্টেরনের সংযোগ থাকতে পারে।
দ্রুত পশম/চুলের উদ্ভব
টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যাবার কারণে শরীরের যেখানে-সেখানে হঠাৎ করে পশম জন্মাতে পারে। আর শরীরে যদি এক ধরণের টিউমার থেকে থাকে তাহলেও টেস্টোস্টেরন এভাবে বেড়ে যেতে পারে।
অনিয়মিত পিরিয়ড
অনিয়মিত পিরিয়ডের পেছনেও থাকতে পারে অনেক কারণ। যেমন স্ট্রেস, থাইরয়েডের সমস্যা, ইস্ট্রোজেনের অভাব অথবা চঈঙঝ (ঢ়ড়ষুপুংঃরপ ড়াধৎু ংুহফৎড়সব)। চঈঙঝ এর লক্ষণ হলো অনিয়মিত পিরিয়ড, অনিয়ন্ত্রিত ওজন বাড়া অথবা শরীরে পশমের আধিক্য। তবে পিরিয়ড অনিয়মিত হবার পেছনে এটাই কি কারণ কিনা তা জেনে নিতে হবে, এরপর বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে এর প্রতিকার করা যায়।
ঘুমের মাঝে ঘেমে যাওয়া।
ইলেক্ট্রিসিটি যদি চলে না যায় বা আপনার বেডরুম যদি কোনো কারণে অতিরিক্ত গরম না হয়, তাহলে ঘেমে-নেয়ে ঘুম ভেঙ্গে যাবার কারণ হতে পারে ইস্ট্রোজেনের অভাব এবং অনিয়মিত ডিম্বপাত। এই জটিলতাকে বলা হয় পেরিমেনোপজ। মেনোপজ হবার মতো বয়স হবার আরও বছর দশেক আগেই দেখা দিতে পারে পেরিমেনোপজ। এসব উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তার দেখিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন সমস্যাটি আরও গুরুতর কি না।
সূত্র: ইন্টারনেট



October 01, 2014

Posted in:
0 comments:
Post a Comment