Monday, September 22, 2014

চুলের যত্নে বিভিন্ন তেলের ব্যবহার

নারকেল তেল:
চুলের যত্নে এই তেল সবচেয়ে পরিচিত বহুল ব্যবহৃত৷ নিষ্প্রাণ চুলে সজীবতা ফিরিয়ে আনতে এর কোনো জুড়ি নেই৷ এটি চুলের রুক্ষতা আগা ফেটে যাওয়া রোধ করে৷ চাইলে ঘরে বসেই আপনি খাঁটি নারকেল তেল বানিয়ে ফেলতে পারেন৷ ঝুনা নারকেলের শাঁস ভালোমতো বেটে ২০ থেকে ২৫ মিনিট চুলায় জ্বাল দিয়ে নিন৷ থেকেই তেল বেরিয়ে আসবে৷ এই তেল ঠান্ডা করে চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে নিন৷ এটি একবার বানিয়ে বোতলে সংরক্ষণ করে রাখলে অনেক দিন ব্যবহার করতে পারবেন৷
সরিষার তেল:
রোদে পুড়ে চুল লালচে হয়ে গেলে, চুলের ঘনত্ব কমে গেলে এই তেল লাগালে উপকার পাবেন৷
তিল নিমের তেল:
চুলের গোড়ায় নিয়মিত তিল অথবা নিমের তেল ব্যবহার করলে খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন৷
লবঙ্গর তেল:
অনেক সময় মাথার ত্বকে ঘামাচির মতো ছোট ছোট দানা দেখা দেয়৷ বিশেষ করে গরমের দিনে যাঁরা বেশি ঘামেন এবং সব সময় কাপড় দিয়ে যাঁদের চুল ঢাকা থাকে, তাঁরা ধরনের সমস্যায় ভুগতে পারেন৷ চুলের গোড়ায় লবঙ্গের তেল নিয়মিত মালিশ করলে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে৷
আমলার তেল:
এই তেল চুলকে কালো করে এবং অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা থেকে রক্ষা করে৷
তিসির তেল:
এটি চুলকে কালো মসৃণ করতে সাহায্য করে৷
রোজমেরি তেল:
এই তেল মাথার ত্বকের জন্য বেশ উপকারী৷
ইভনিং প্রিমরোজ তেল:
এক টেবিল চামচ জলপাই তেলের সঙ্গে চার ফোঁটা ইভনিং প্রিমরোজ তেল মিশিয়ে চুলে মালিশ করলে চুল পড়া কমে৷ এটি চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে৷
জোজোবার তেল:
জোজোবার তেলের সঙ্গে ক্যাস্টর তেল মিশিয়ে নিয়মিত চুলে ব্যবহার করলে তা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে৷
ছাড়া এক টেবিল চামচ জোজোবার তেলের সঙ্গে চার ফোঁটা চা-গাছের তেল, চার ফোঁটা গোলাপের তেল এবং চার ফোঁটা ইউক্যালিপটাসের তেল মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল পড়া কমে এবং চুল মজবুত হয়৷

জেনে নিন চুলের যত্নে আরও কিছু সুগন্ধি তেল ব্যবহৃত হয়৷ যেমন: ল্যাভেন্ডার তেল, চন্দন কাঠের তেল বেলি ফুলের তেল৷ বড় ওষুধের দোকান সুপারশপগুলোয় নানা রকম তেল কিনতে পাবেন৷ ছাড়া অ্যারোমাথেরাপি করানো হয়এমন বিউটি পারলাগুলোতেও সুগন্ধি তেল পাওয়া যেতে পারে৷ এই তেল চুলকে সুন্দর ঝলমলে তো করবেই, তার সঙ্গে দূর করবে ক্লান্তি এবং মনে নিয়ে আসবে প্রশান্তি৷
বেলি ফুলের তেল ঘরেই তৈরি করতে পারবেন৷ এক কেজি বেলি ফুল সারা রাত পানিয়ে ভিজিয়ে রাখার পর সকালে সেই পানির ওপর যে তেল ভেসে উঠবে, তা চামচ দিয়ে তুলে চুলে মালিশ করে নেওয়া যাবে৷
চুলের গোড়ায় তুলার সাহায্যে তেল মালিশ করতে পারেন৷ এরপর সারা চুলে তেল মেখে ৩০ মিনিট রাখলেই যথেষ্ট৷ সব তেলই গরম করে লাগাতে হবে তা নয়; বরং অনেক সময় তেল গরম করলে তার পুষ্টিগুণ কিছুটা কমে যেতে পারে৷ তবে তেল লাগানোর পর চুল শ্যাম্পু করার আগে মোটা তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে তা নিংড়ে মাথায় পাঁচ থেকে সাত মিনিট পেঁচিয়ে রাখতে পারেন৷ এতে লোমকূপগুলো খুলে ভেতরের ময়লা বেরিয়ে আসবে এবং তেলের পুষ্টিগুণ সহজেই ভেতরে ঢুকতে পারবে৷
                                  সূত্র: ইন্টারনেট

0 comments:

Post a Comment

 
Design by Wordpress Theme | Bloggerized by Free Blogger Templates | free samples without surveys